কেয়া আজ ভি কোই ওয়ালি আল্লাহ বান সাকতা হ্যায়?

কেয়া আজ ভি কোই ওয়ালি আল্লাহ বান সাকতা হ্যায়?
Posted on 31-01-2022

এই যুগে কি কেউ বেলায়েত পেতে পারে?

ফাইসাল নাওয়ায চুগতাই শিয়াল্কোট, পাঞ্জাব, পাকিস্তান থেকে প্রশ্ন করেছেন :

আসসালামু আলাইকুম। মানুষ কি এই যুগেও বেলায়েত পেতে পারে?

মানুষ কি এই যুগেও বেলায়েত পেতে পারে?

আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সত্যটি স্পষ্ট করে আসছি যে ইমাম মেহেদীর আগমনের পর বেলায়েতের জমানা শেষ হয়ে যাবে

এবং ইমাম মেহেদীই হলেন খাতিমুল আউলিয়া।

এখন, আমি যে এই বাক্যটি ব্যবহার করি যে, সারকার (রা রিয়ায গওহার শাহী) খাতিমুল আউলিয়া -

আমাদের কিছু লোক, যারা সারকার (রা রিয়ায গওহার শাহী) অনুসারী, তারা বলে, 'ওহ দেখুন, তিনিও বলছেন সারকার (রা রিয়ায গওহার শাহী) একজন ওলী আল্লাহ।'

না, আমি কখন বললাম যে সারকার (রা রিয়ায গওহার শাহী) একজন ওলী? আমি তা বলছি না।

সকল মুরসিলের রিসালাতের ভিত্তি হচ্ছে বেলায়েত।

বেলায়েত হচ্ছে ভিত্তি।

বেলায়েত কোন পদমর্যাদা নয়।

বেলায়েত?

তাহলে পদমর্যাদা কই?

গঊস বা কুতুব বা মুর্শিদ (আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক) হওয়া একটি পদমর্যাদা।

যাইহোক, ওলী আল্লাহ হওয়া কোনো পদ নয়, এটি একটি বাতেনী মর্যাদা।

এখন, যদি বেলায়েত শেষ হয়ে যায় তবে এর অর্থ কি?

বেলায়েত দুই প্রকারের ছিল।

একটি হচ্ছে ফাকর-ই-বা করম যার অর্থ হল কারো করমের (আশীর্বাদ) মাধ্যমে ফাকরে (আধ্যাত্মিক দারিদ্রতা) প্রবেশ করা।

এই [ওলী আল্লাহ] চূড়ান্ত পরিণতি হলো হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জাত এ মুবারাক।

যারা ফাকর-ই-বা করমের অন্তর্ভুক্ত তাদের আল্লাহ এর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক বা যোগাযোগ নেই।

ফাকরে-বা কারামের ওলীরা প্রতি যুগে ৩৬০ জন ওলী কর্মী তৈরি করেন, যার প্রধানকে বলা হয় 'গাউস উল জামান'

এবং তারপর তিনজন 'কুতুব' এর পরে ৪০ জন 'আবদাল', তারপর 'আবরার', 'আখিয়ার' ইত্যাদি।

৩৬০ জন ওলী নিয়ে গঠিত এই কর্মীদল প্রতিটি যুগে ছিলেন।

এই ওলীদের প্রধান হলেন একজন গাউস উল জামান যিনি একজন কামিল শরিয়ত।

একজন কামিল শরিয়ত তাকে বলা হয় যিনি বাতেনী শরিয়ার ফায়েয প্রদান করেন অর্থাৎ নাফস পরিশুদ্ধ করেন।

তাকেই কামিল শরিয়ত বলে।

এই ৩৬০ জন ওলী আল্লাহ- অর্থাৎ গঊস থেকে নুকবা পর্যন্ত- যারা প্রতিটি যুগে ফাকরে বা কারাম হয়ে এই এসেছেন; তাদের আল্লাহ এর জাত এর সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।

যদিও, তাদের ওলী আল্লাহ বলা হয়ে থাকে।

আপনারা কি বুঝতে পেরেছেন? তাদের ওলী আল্লাহ বলা হয় ঠিকই তবে, তাদের আল্লাহ এর জাত এর সাথে কোনো যোগাযোগ নেই।

আর এই কারণেই এই ৩৬০ জন ওলীর এই কর্মীদল যাহেরী শরিয়া কঠোরভাবে অনুসরণ করেন; তারা নবী (সাঃ) এর একটি সুন্নাতও বাদ দিতে পারেন না।

এবং তারা প্রতিটি যুগে এসেছেন।

এখানেই ধর্মীয় আলেমরা তাদের অজুহাত খুঁজে পায় - তারা গাঊস ওলীদের উদাহরণ ব্যবহার করে এবং বলে, 'তারা নবীর একটি সুন্নাতও বাদ দেননি।'

যেমন পীর মেহের আলী শাহ। আপনি কি মনে করেন তিনি একজন মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন?

তিনি ছিলেন তার যুগের একজন গাঊস মাত্র।

তিনি এত বড় ব্যক্তিত্ব ছিলেন না এবং আজ তার নাতিরা আধ্যাত্মিকতার নাম কারাপ করছেন করছে।

তারা শুধুমাত্র হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে যুক্ত।

তাহলে এর অর্থ কি?

না তাঁরা কখনো দিদারে ইলাহী করেছেন, না কখনো আল্লাহ এর সাথে কথা বলেছেন আর না তাদের উপর তাজাল্লী (আল্লাহ এর নূরের বর্ষণ) হয়

আর না তাদের সঙ্গে যারা বসে তাদের পাপ পুড়ে যায়।

যদি তাঁদের সঙ্গে বসলেই তাদের গুনাহ পুড়ে যেত তাহলে তাঁরা কেন জোর করে তাদের নামাজ পড়তে বাধ্য করবে?

কেন তাঁরা ইবাদতের উপর এতটা নির্ভরশীল? কারণ চিল্লা মুজায়েদা ই তাদের সব কিছু। যদি এটাই ছেড়ে দেয় তাহলে তারা কোথায় যাবে?

যদি একজন মুর্শীদ, একজন ওলী তার শিষ্যদেরকে ইবাদত করার জন্য অনেক জোর না করেন এবং তিনি প্রমাণিত ওলী তবে বুঝে নিতে হবে উনি নিশ্চয়ই অনেক বড় জাত (তাঁর পদমর্যাদা অনেক বড়)।

তিনি তাঁর শিষ্যদেরকে ইবাদতে নিয়োজিত না করে তাঁর পাক নযরই দিয়ে তাদের (শিষ্যদের) হৃদয়কে আলোকিত করতে সক্ষম হন।

দুনিয়ার বেশির ভাগ ওলীই হচ্ছেন এই ৩৬০ জনের অন্তর্ভুক্ত।

আপনারা কি বুঝতে পেরেছেন?

৩৬০ জন ওলী থেকে। আর একেই বলা হয় ফাকর-ই-বা কারাম।

এটাকে কি বলে? [শ্রোতা: ফকর-ই-বা করম।]

তাঁরা সম্পূর্ণরূপে যাহেরী ইবাদতের উপর নির্ভরশীল।

তাদের সম্পূর্ণ রুহানীয়াত নাফসকে বশ মানানোকে ঘিরে চলে। তাঁরা শুধুমাত্র নাফকে নিয়ন্ত্রণ করা এবং এটি সংস্কার করার দিকে মনোনিবেশ করে। এটাই.

অধিকাংশ ওলীই এই [প্রকার বেলায়েত] থেকে এসেছেন; যারা কেবল নামেই ওলী।

এখন, এই সমস্ত 'ওলীদের উত্তরসূরি' যারা পাকিস্তানে এখানে এবং সেখানে বেড়িয়ে আসছে - আমি এখানে ইংল্যান্ডে কয়েকজনের নাম জেনেছি, আমি তাদের সম্পর্কে আগে জানতাম না।

এখন, ওলী আল্লাহদের এই সমস্ত তথাকথিত উত্তরসূরিরা - যখন তাদের পূর্বসূরিরা উপস্থিত ছিলেন, তখন তারা তাদের যুগের গঊস ছিলেন কিন্তু এই ওলীদের কেউই তাজাল্লী এর অধীনে আসেননি।

অতএব, তারা কেবল তাদের শিষ্যদের জোড়ালোভাবে ইবাদত করতে বাধ্য করেন নি, বরং তারা নিজেরাও জোড়ালোভাবে ইবাদত করেছেন।

তারা তাহাজ্জুদের নামাযও পড়তেন; তাঁরা তাদের শিষ্যদেরকে তসবী গুণতে বলতেন এবং নবী (সাঃ) এর জন্য ৫০০০ বার দুরুদ পড়ারও নির্দেশ দিতেন।

তারা কঠোরভাবে শরীয়ত অনুসরণ করতেন। তারা কঠোরভাবে ইবাদত করতেন।

এমন ওলী আল্লাহ প্রচুর এসেছেন।

এই কারণেই মানুষ কেবল এই ধরণের ওলী আল্লাহই দেখেছে।

এবং সমস্ত মহান ব্যক্তিত্ব যে এসেছেন, সম্ভবত তারা কেবল ভাল সময়েই এসেছেন।

আর এই যুগে যদি সায়ীন সাহেলী সারকারের মতো কোনো মহান ওলী এসে থাকেন- তিনি কোথা থেকে এসেছেন? মুজাফফরাবাদ?

তিনি দাড়িও রাখতেন না এবং সালাতও আদায় করতেন না।

তিনি বলতেন, 'আমি আল্লাহ এর বউ।'

তিনি এমন কথা বললে লোকেরা তাকে অভিশাপ দিত। সাধারণ মানুষ তাকে চিনতে পারে নি, চিনতই বা কিভাবে?

বেশির চেয়ে বেশি পীর মেহের আলী শাহের মতো পীর কেই মানুষ চিনতে পারে।

এই সকল ওলী আল্লাহ ফাকর-ই-বা কা্রামের অন্তর্গত।

এখন, যে মহান ব্যক্তিত্বরা এসেছেন তারা তাদের শিষ্যদেরকে কোনো কিছু থেকে বিরত থাকতে বা যাহেরী ইবাদত করতে জোর করেননি,

কিন্তু কেন তারা এসব কথা বলেন নি? কারণ তারা তাজাল্লীর অধীনে ছিলেন।

মানুষ তাদের সঙ্গে বসত এবং তাজাল্লী এর অধীনে আসত এবং তাদের অভ্যন্তরটি ঠিক সেভাবেই পাক হয়ে যেত।

তাদের পাক নযর দ্বারাই মানুষের হৃদয় আলোকিত হয়ে যেত।

যারা এই পথ অতিক্রম করে কেবল তারাই জানে পথ টি কেমন।

যারা কোনো ইবাদত না করেই ধন্য, তারা যখন গিয়ে মানুষকে বলে, 'না আমি দিনে পাঁচবার ইবাদত করিনি, না তসবী পড়েছি,

আমি আমার মুর্শীদের সাথে দেখা করেছি এবং তিনি আমার উপরে রহমত করেছেন।' মানুষ তাদের কথা বুঝতে না পেরে তাদের কাফের বলে বসে

তাই এমন ব্যক্তিত্ব এখানে-সেখানে এলেও মানুষ তাদের বিশ্বাস করেন নাই।

এই ওলীরাই বেশিরভাগ প্রাধান্য পেয়েছে।

অতএব, আপনি যদি তাহির উল কাদরীকে জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে একজন ওলীকে চিনতে হয়, তিনি আপনাকে বলবেন কিভাবে এই ওলীদের চিনতে হয়।

তিনি এদের ব্যাপারেই কথা বলবেন।

এবং যখন তাহির উল কাদরী জানতে পারলেন যে এই ওলীদের খুব বেশি জ্ঞানও নেই, তখন তিনি এই সমস্ত শেখদের শেখ হয়ে গেলেন।

'তারা সবাই অজ্ঞ। আমি অসংখ্য বই লিখেছি। আমি হেন আমি তেন' আর কি বলে কে জানে।

সুতরাং এরা ফাক্‌র-ই-বা কারামের ওলী। তারা তাজাল্লী এর অধীনে নয় বা তারা আল্লাহ এর সাথে দেখা বা কথোপকথন করেনি

তারা কার বাকশিস (পরিত্রাণ)ও করাতে পারেন না, গঊস ছাড়া- সে (গউস) হয়ত দুই জন কে বাকশিস (পরিত্রাণ)করানোর কোটা পেয়ে থাকেন।

এবার আসা যাক একজন প্রকৃত ওলী আল্লাহ এর কথায়।

তারপর আছে উলায়াত-ই-উজমা (বৃহত্তর বেলায়েত)।

বৃহত্তর বেলায়েতের দুটি পর্যায় রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে আল্লাহ এর দিদার করা

এবং দ্বিতীয়টি হল আল্লাহ এর সাথে কথোপকথন করা।

আপনারা বুঝতে পারছেন?

যারা আল্লাহ এর দিদার করেন তারাই আল্লাহ এর ইস্মে জাত প্রাপ্ত হন।

যারা আল্লাহ এর সাথে কথোপকথন করে তারাই আল্লাহ এর সিফাতি নাম প্রাপ্ত হন।

যদি তারা আল্লাহ তা'লা এর জাত এর নাম পেতেন, তাহলে কি তারা শুধুমাত্র কথোপোকথনেই সীমাবদ্ধ থাকতেন?

তাই না?

যদি তাদের আল্লাহ এর জাতের নাম থাকত, আপনি কি মনে করেন যে তারা কেবল আল্লাহ এর সাথে কথা বলেই সন্তুষ্ট থাকতেন?

এখন, দুটি আছে - জাতের নাম (ব্যক্তিগত নাম) এবং সিফাতি (গুণাবলীর নাম)।

আপনারা বুঝতে পেরেছেন? জাত এর নাম ও সিফাতি।

এখন, আমি ইতিমধ্যেই আপনাকে আল্লাহ এর দিদার করার করার পদ্ধতি বলেছি তবে এটি আবার ব্যাখ্যা করতে ক্ষতি নেই।

প্রথমে বলি তাদের কথা যারা আল্লাহ এর দিদার করেন।

আপনি যখন আমার সম্পূর্ণ বক্তব্যটি শুনবেন, তখন আপনি জানতে পারবেন বেলায়েত এর অবসান বলতে কী বোঝায়।

আপনি যদি এখন মনোযোগ না দেন,তাহলে শেষে যখন উত্তর টা দিব তখন তা বুঝতে পারবেন না।

আল্লাহ এর দিদার কিভাবে করে?

এখন, এটি একজন মানুষ। এর সাতটি লতিফা রয়েছে।

এটি হচ্ছে লাতিফায়ে আনাহ।

আল্লাহ এর দিদারের জ্ঞ্যান দেওয়া হয় লাতিফায়ে আনাহ কে।

লাতিফায়ে আনাহ আলাম এ আহদিয়াতে যায় - যা আলম-ই-ওয়েহদাতের মুখোমুখি এবং মাকামে মেহমুদ আলম-ই-ওয়েহদাতেই অবস্থিত।

লাতিফায়ে আনাহ এর মাধ্যমে মুর্শীদ তাকে এইখানে নিয়ে যায়।

এটি আল্লাহ এর দিদার করে।

যখন এটি আল্লাহ এর দিদার করে,আল্লাহ এর যে ছবিটি সে দেখে তা লতিফায়ে আনাহ এর ভিতর লীন হয়ে যায়।

আল্লাহ এর নকশা/ছবি লতিফায়ে আনাহ তে লীন হয়ে যায়।

তখন, লতিফায়ে আনাহ এর মাধ্যমে, আল্লাহ এর সেই ছবি/নকশা চোখে এসে পড়ে

এবং চোখ থেকে তখন তা হৃদয়ে স্থানান্তরিত হয়।

এবং তারপর এটি হৃদয়ে স্থিত হয়।

আল্লাহ এর ছবি লাতিফায়ে আনাহ দ্বারা গৃহীত হয়ে চোখে স্থানান্তরিত হয়

এবং তারপর হৃদয়ে।

আধ্যাত্মিকতায় 'নজার-ই-কিমিয়া' (আধ্যাত্মিক রসায়ন) বলে একটি বিষয় আছে।

উদাহরণ স্বরূপ, সুলতান হক বাহু বলেছেন, 'আল্লাহ যাদেরকে নাযরে কিমিয়া দান করেছেন তারা পাথরকে সোনায় পরিণত করার ক্ষমতা রাখেন।

'যাদের নাযরে কিমিয়া আছে তারা পাথরকে সোনায় পরিণত করতে পারে। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এই নিয়ামত দান করেন।'

এখন এইটার অর্থ কি?

যেই চোখ নাযরে কিমিয়া হাসিল করেছে (আধ্যাত্মিক রসায়ন); এল্ক্যামি

তারা একটি পাথরের দিকে তাকিয়ে এটিকে সোনায় পরিণত করতে সক্ষম এবং কারো মৃত কাল্ব কে পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম।

নাযরে কিমিয়া কিভাবে পাওয়া যায়? যখন আল্লাহ এর ছবি লাতিফায়ে আনাহ থেকে চোখে স্থানান্তরিত হয়।

নাযরে কিমিয়া কাউকে দান করা হয় না।

আল্লাহ এর ছবি যখন চোখ থেকে লাতিফায়ে আনাহ থেকে চোখে স্থানান্তরিত হয় এবং তারপর তা হৃদয়ে প্রবেশ কর।

এটি কেন চোখে স্থানান্তরিত হয়? যাতে এই চোখ দ্বারা বাতেনী তাওয়াজ্জ করা যায় এবং মানুষের কাল্ব কে জাগ্রহ করা যায়।

এবং কেন তা হৃদয়ে স্থানান্তরিত হয়? যাতে তাজাল্লী হৃদয়ে পতিত হয় এবং হাবর আল্লাহ দ্বারা সংযুক্ত হতে পারে।

হাবর আল্লাহ সংযুক্ত হবে আল্লাহ এর সেই নকশা/ছবি এর সাথে।

আপনারা কি বুঝতে পেরেছেন?

এতটুকু কি বুঝতে পেরেছেন?

যখন আল্লাহ এর ছবি হৃদয়ে স্থির হয়, তখন আল্লাহ তা'লা বলেন, 'এখন যে তোমাকে দেখবে সে আমাকেই দেখবে।'

যখন কেউ আল্লাহ এর দিদার করেন এবং আল্লাহ এর নকশা/ছবি লাতিফায়ে আনাহ দ্বারা শোষিত হয়, চোখের কাছে স্থানান্তরিত হয় এবং তারপর হৃদয়ে স্থির হয়,

তারপর, প্রতিদিন তার হৃদয়ের উপর ৩৬০ টি তাজাল্লী পতিত হয়।

আর, ফাকরে বয়া কারামের যে ৩৬০ জন ওলী আল্লাহ আছেন তারা সম্মিলিতভাবে এই এক তাজাল্লীর সমানও নয়।

এর উপর ৩৬০ টি তাজাল্লী প্রতিদিন পতিত হবে; আর এই একেক্টি তাজাল্লী ওই ৩৬০ টি ওলী আল্লাহ এর ছেয়ে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন।

আপনারা কি বুঝতে পারছেন আমি কি বলছি?

তাহলে এটা কি? ইনি একজন ওলী আল্লাহ।

আচ্ছা, এইটা তোহ হচ্ছে ওলী, এখন মুর্শীদ কে সেই কথায় আসা যাক।

যারা আল্লাহ এর দিদার করেছেন তাদের মধ্যে থেকে আল্লাহ তা'লা কিছু ওলী আল্লাহ কে বেছে নেন মুর্শীদ বানানোর জন্য। সকল ওলী আল্লাহ মুর্শীদ হন না।

যাকে আল্লাহ তা'লা মুর্শীদ হওয়ার জন্য বেছে নেন তাকে ইল্মে মারফত শেখানো হয়।

ইল্মে মারফত কি?

ইযন-এ-ইরশাদ (ঐশ্বরিক আধ্যাত্মিক অনুমতি)

এটি হল নির্দেশনা প্রদানের জ্ঞান। এতে বিভিন্ন ধরনের ঐশ্বরিক অনুমতির চাবিকাঠি রয়েছে; মানুষকে বায়তুল মামুরে নিয়ে যাওয়া।

যাদের এই জ্ঞান আছে তাদের শেখানো হয় কিভাবে তাদের মুরীদদের [আল্লাহ এর সামনে] যাচাই করতে হয়। এটি একটি খুব দীর্ঘ প্রক্রিয়া.

যাদের কে মুর্শীদ বানানোর জন্য বেছে নেওয়া হয় তাদেরকে মারফত এবং ইযন-এ-ইরশাদ এর জ্ঞ্যান দেওয়া হয়।

যাদের কে ইযন-এ-ইরশাদ এর জ্ঞ্যান দেওয়া হয় তারা প্রথমে "ওলী" এবং তারপর পর "ওলী মুর্শীদ" বলে আখ্যায়িত হন।

তাদের কি বলা হয়? ওলী মুর্শীদ।

পবিত্র কোরানে এর উল্লেখ রয়েছে।

'আর তারা একজন ওলী মুর্শিদ খুঁজে পাওয়া থেকে বঞ্চিত।' - কোরান ১৮:১৭

আল্লাহ যাদেরকে পথভ্রষ্ট করতে চান তারা ওলী মুর্শিদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত।

তাই সেই ওলী যিনি মুর্শীদ হন।

তার উপাধিতে 'মুর্শিদ' যোগ করা হয়ছে কারণ তাকে নির্দেশনা প্রদানে বিশেষজ্ঞ করা হয়েছে।

আপনারা কি বুঝতে পারছেন?

এখন, ইমাম মেহদী গওহার শাহী দুনিয়ার সকলের জন্য পথ প্রদর্শক হয়ে এসেছেন

অতএব, আল্লাহ অন্য কাউকে হেদায়েত দেওয়ার অনুমতি দেবেন না।

এখন ইমাম মেহেদী কর্তৃক সকল প্রকার নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে।

এখন, আর কোন মুর্শীদ নেই কারণ মারফতের অধ্যায়টি বন্ধ হয়ে গেছে।

মারফত শেষ হয়ে গিয়েছে।

তাহলে এখানে এভাবে মারফত লিখে কেটে দেওয়া যাক। এটা কেন শেষ হয়েছে?

সেই বিভাগের দায়িত্বে এখন ইমাম মেহেদী।

আপনারা কি বুঝতে পারছেন?

কেউ আর এখন মুর্শীদ হতে পারবে না। কেন?

কারণ আল্লাহ ইমাম মেহেদীকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

এখন ইমাম মেহেদীর মাধ্যমে মানুষকে সব ধরনের হেদায়াত প্রদান করা হবে।

এখন, আর কেউ ওলী আল্লাহ হতে পারবে না।

আপনারা কি বুঝতে পারছেন?

আপনারা কি বুঝতে পারলেন?

কেন?

শ্রোতা সদস্য: এখন কেউ মুর্শীদ হতে পারে না কারণ ইমাম মেহেদী এখানে আছেন]। হ্যাঁ.

এখন বেলায়েতের কথায় আসি।

"বেলায়েত"।

বেলায়েত কি?

একজন আল্লাহ এর দিদার করলো। লাতিফায়ে আনাহ উপরে (আল্লাহ এর কাছে) গেল

আল্লাহ এর ছবি হৃদয়ে এলো।

তারপর - এটি হচ্ছে মানুষের হৃদয়।

াল্লাহ তা;লা এর তাজাল্লী হৃদয়ের উপর পড়লো। এটা কে হাবর আল্লাহ বলা হলো।

এটি হচ্ছে বেলায়েত।

বেলায়েত কি? হাবর আল্লাহ। এটি হচ্ছে বেলায়েত।

এখন, এই হাবর আল্লাহ যা কিনা আল্লাহ এর কাছ থেকে আসছিলো তা এখন উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।

আল্লাহ তা'লা তা উথিয়ে নিয়েছেন।

তাই এখন, আর কেউ মুর্শীদ হতে পারবে না কেননা, ইমাম মেহদী চলে এসেছেন। তাদেরকে আর প্রয়োজন নেই।

এবং হাবর আল্লাহ -

- হ্যাঁ [এটি ফেরত নিয়ে নেওয়া হয়েছে]। কেন?

কারণ এই হাবর আল্লাহ এর এই দড়ি নির্দিষ্ট নবী এবং ওলী-আল্লাহ দের সাথে সংযুক্ত ছিল।

এবং এর মধ্যে সেই নমনীয়তা নেই যে তা ধর্ম অনুসরণ করে না এমন কারো সাথে সংযুক্ত করতে পারবে।

এই কারণেই এটি আল্লাহ কর্তিক ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল - প্রয়োজনীয়তাবশত।

প্রয়োজনীয়তাবশত।

কেন ফিরিয়ে নেওয়া হল?

কারণ এটি [নির্দিষ্ট] নবী, রসূল এবং ওলী-আল্লাহদের সাথে সংযুক্ত হবে।

আর ধর্মের প্রচার হবে।

এটার সেই নমনীয়তা নেই।

আপনারা কি বুঝতে পারছেন?

এখন ইমাম মেহেদীর বুক থেকে ৭টি তার সংযুক্ত রয়েছে যা [আল্লাহর] দিকে ধাবিত করছে।

অন্য কথায়, প্রক্রিয়াটি বিপরীত হয়েছে।

তাই,বেলায়েত প্রতিস্থাপিত হয়েছে ইশক দারা।

বেলায়েত প্রতিস্থাপিত হয়েছে ইশক দারা।

বেলায়েতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র একটি তার সংযুক্ত থাকতো [যার সাথে সবাই সংযুক্ত থাকবে]।

এখন, ৭ টি প্রপাত এ রিয়ায ইমাম মেহেদীর বুক থেকে জড়িয়ে আছে এবং [আল্লাহর কাছে] আরোহণ করছে।

আপনি কি বিদ্যুৎ সম্পর্কে জানেন?

আপনি কি জানেন একক ফেজ, দুই-ফেজ বা তিন-ফেজ বৈদ্যুতিক শক্তি কী?

গড় পরিবারের বৈদ্যুতিক শক্তি সম্ভবত একক ফেজ।

একক ফেজ।

এবং যদি এটি একটি ব্যবসা হয়, তারা যে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তা ভারী কাজ করে ।

এগুলি চালানোর জন্য আপনার আরও শক্তিশালী বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রয়োজন।

তাই তারা বহু-ফেজ বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহার করে।

এখন শুধু এটি কল্পনা করুন - এটি একটি একক দড়ি ছিল।

আপনি যদি এই একটি তার কে ৭টি দড়ি দ্বারা তুলনা করেন -

তুলনা করুন ৭টি দড়ি দ্বারা -

মনের মধ্যে উঠে আসা প্রথম প্রশ্ন হবে, 'কেন ৭টি দড়ি সংযুক্ত করা হয়েছে?'

কারণ যখন এটি শুধুমাত্র একটি একক দড়ি ছিল, তখন মানুষ নিজেদেরকে পরিষ্কার করার জন্য দায়ী ছিল।

মানুষ নিজেকে পরিষ্কার করার জন্য দায়ী ছিল।

সেই [একক] ঐশ্বরিক দড়ি তোমাকে পরিষ্কার করার জন্য ছিল না।

হ্যাঁ. আপনি আপনার নিজের পরিষ্কারের জন্য দায়ী ছিল.

আপনাকে আপনার রিজিক আইনত উপার্জন করতে হয়েছে। [আপনাকে বলা হয়েছিল] 'এটা খাও, ওটা খাও না' এবং তোমাকে অনেক কিছু করতে হয়েছে।

আপনি ঐ সমস্ত কাজ করলেই ঐশ্বরিক দড়ি আপনার উপকারে আসবে।

এমন কোনো নবী রাসূল বয়া মুর্শীদ আসেন নি যিনি কিনা আপনার ও আমার মত পাপী বান্দাদের পাত্তা দিয়েছেন।

কোনো মুর্শীদ বয়া নবী তা করেন নি।

এখন, দেখুন, সরকার গওহার শাহী কাউকে বিশেষ নির্দেশ দিচ্ছেন এমনটা দেখা যায়নি।

তিনি [বিশেষ নির্দেশ] জারি করেননি।

[তিনি বলেননি], 'আপনার এটা করা উচিত এবং আপনার এটি করা উচিত নয়।'

যদি কেউ মদ পান করে, সকার গওহার শাহী তাকে বলেছেন, 'এটা ঠিক আছে, তুমি মদ্যপান চালিয়ে যেতে পারো। শুধু যিকিরে কাল্ব এর ইজাজত নিয়ে নাও।'

'তোমরা পাপ করতে থাকো, কিন্তু আল্লাহ এর যিকিরেও নিয়োজিত থাকো।'

অন্য কেউ কি কখনো এমন একটি বাক্য বলেছিল?

এমন বাক্য বলার সাধ্য আর কারো নেই!

যদি আপনার বাড়িতে শুধুমাত্র একটি একক ফেজ বৈদ্যুতিক পাওয়ার সাপ্লাই থাকে, তাহলে আপনি শুধুমাত্র ছোট যন্ত্রপাতি চালাতে পারবেন।

ছোট যন্ত্রপাতি।

সর্বাধিক, সম্ভবত আপনি শুধু জুস বানাতে পারবেন।

আপনি ব্লেন্ডার ব্যবহার করে একটি স্মুদি তৈরি করতে পারেন।

আর কি? হয়তো আপনি টিভি চালু করবেন।

আগামীকাল, আপনি যদি একটি টেস্লা গাড়ি কিনেন, আপনি এটি বাড়িতে চার্জ করতে সক্ষম হবেন না৷

এর জন্য, আপনার একটি একাধিক-ফেজ সংযোগ প্রয়োজন হবে।

এবং এখানে [ইমাম মেহেদীর সাথে] ৭টি ঐশ্বরিক দড়ি রয়েছে।

কতগুলো? [শ্রোতা: ৭টি ঐশ্বরিক দড়ি]।

উপর থেকে (আল্লাহ এর কাছ থেকে) রহমত আসত নিচে (দুনিয়াতে) হাবল আল্লাহ এর মাধ্যমে।

কিন্তু এই তারগুলো এখন নিচে (দুনিয়া থেকে) থেকে উপরে (আল্লাহ এর কাছে) যাচ্ছে।

এখন রহ্মত বাদ দাও। এখন আপনাদের নিচে (দুনিয়া থেকে) থেকে উপরের (আল্লাহ এর কাছে) নিয়ে যাব।

এখন, এই ৭টি ঐশ্বরিক দড়ি, আপনি কতটা পাপী তা কোন ব্যাপার না।

আপনি কতটা পাপী তা কোন ব্যাপার না।

সরকার গওহার শাহী এর কাছে আসো, তুমি যে ই হও না কেন।

এই ৭টি ঐশ্বরিক দড়ি ইমাম মেহেদীর সাথে সংযুক্ত।

এবং সরকার গওহার শাহী বলেন,"'আমার ঘরে পৌছাও, দেখবে আমার আর আল্লাহ এর মধ্যে [কোন পার্থক্য নেই]।'

এখন এটার মানে কি? দেখা যাক।

সরকার গওহার শাহী বলছেন,'যদি তুমি আমার দোরগোড়ায় পৌঁছাও-'

সহজ উর্দুতে, আপনি বলতে পারেন এর অর্থ, 'যদি আপনি আমার কেন্দ্রে যাওয়ার পথ খুঁজে পান -'

তুমি যদি আমার বাড়িতে পৌঁছো-'

যদি তুমি গোহরশাহীর দোরগোড়ায় এসেছ-'

- তুমি এসেছ সারকার গোহর শাহীর দোরগোড়ায় -'

[সারকার গোহর শাহীর মূল কবিতার পুনরাবৃত্তি] '- আমার ঘরে পৌঁছো।'

তাহলে কি হবে?

'তাহলে আল্লাহ আর আমার মধ্যে পার্থক্য কি থাকবে?'

এখন সেটা কি?

এখন, এই ৭টি ঐশ্বরিক দড়ি - এইখানে ৭টি ঐশ্বরিক দড়ি ঊর্ধ্বগামী।

1, 2, 3, 4, 5, 6, 7. ১,২,৩,৪,৫,৬,৭

ওহহো। ৭টি ঐশ্বরিক দড়ি

এখন,এইখানে ৭টি ঐশ্বরিক দড়ি ঊর্ধ্বগামী।

এখন ধরা যাক এই ৭টি ঐশ্বরিক দড়ি কারো মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

আমি যে কারো নাম নিব [উদাহরণ দেওয়ার খাতিরে]। ধরা যাক ঐ ঐশ্বরিক দড়িগুলো মনসুরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

এম দিয়ে মনসুর।

এম,এম,এম,এমে,এম,এম,এম

এখন প্রতিটি দড়ি এর সাথে একটি করে এম আছে।

তাই না?

ঠিক আছে, আমি তাকে খুশি করতে বদির নাম নেই।

আমি শুধু মজা করছি, বদিহ - তুমি [আসলে এখনও ৭টি ঐশ্বরিক দড়ির সাথে সংযুক্ত নও]।

বদির জন্য বি

বি,বি,বি,বি,বি,বি,বি

এই একই ঐশ্বরিক রশির সাথে সংযুক্ত আল্লাহ। আ, আ, আ, আ, আ, আ, আ, আ।

আর আপনি যদি এইচডিই গোহর শাহীর নৈকট্যে পৌঁছানোর পর,

আল্লাহ এর সন্ধানে এদিক ওদিক তাকাতে শুরু করেন,

আপনি জানতে পারবেন যে ঐশ্বরিক দড়ির সাথে আপনি সংযুক্ত আছেন সেই একই ঐশ্বরিক দড়ির সাথে আল্লাহও সংযুক্ত।

*সরকার গোহর শাহীর কবিতার যুগল*

এই ৭টি ঐশ্বরিক দড়ি [ইমাম মেহেদী থেকে] সংযুক্ত এবং তারা উচ্চতর রাজ্যে আরোহণ করছে।

আপনি যদি [আল্লাহ এর দৃষ্টিকোণ থেকে] দেখেন, আসুন শুধু [৭টি ঐশ্বরিক দড়ি] কে আবসারে রিয়ায] বলি।

আবসারে রিয়ায।

আবসারে রিয়াযের সাথে মানুষ যুক্ত।

আর আবসারে রিয়াযের সাথে যুক্ত আছেন স্বয়ং আল্লাহ।

So then what? তাহলে কি?

এখন দেখুন, এই একই পাইপ থেকে তৌফিক তার বিদ্যুৎ পাচ্ছে।

একই ক্ষমতায়।

আর আপনিও পাইপ থেকে একই ক্ষমতায় বিদ্যুৎ পাচ্ছেন। সুতরাং আপনি উভয়ই একই স্তরের বিদ্যুৎ পাচ্ছেন।

এখন এখানে দেখুন. এখানে যে পরিমাণ ফায়েয প্রদান করা হচ্ছে তা এখানে [মানুষকে] প্রদান করা হচ্ছে।

সারকার গোহর শাহীর দয়া আমাদের এই বার্তা দিয়েছেন:

'আলিফ [উর্দুতে একটি অক্ষর যা একটি A বা একটি I বোঝাতে পারে]' শুধুমাত্র আল্লাহকে বোঝায় না - এটি ইনসান (মানুষ)কেও বোঝায়।

'আলিফ' শুধু আল্লাহকে বোঝায় না। এটি ইনসানকেও বোঝায়।

এখন পর্যন্ত, লোকেরা শুধু বলে আসছে, 'আলিফ আল্লাহর জন্য', কিন্তু সারকার গওহার শাহীর দানশীলতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে 'আলিফ' ইনসানের (মানুষ) জন্যও।

উভয়েই সমানভাবে অনুগ্রহ লাভ করছেন।

একক ঐশ্বরিক দড়ি দিয়ে এটি করা যায় না।

মানুষ খুবই অপবিত্র [এখন]। ঠিক না?

এবং এই পরিমাণ অগ্রগতি প্রয়োজন ছিল!

তাই না?

এখন এই ফোনটি দেখুন, এটি একটি হুয়াওয়ে।

এটি নতুন ফোন।

চায়নায় তৈরি।

একটা সময় ছিল যখন চীনে তৈরি জিনিস কেউ চাইত না।

শুধুমাত্র রানচোর লাইনের (করাচির একটি পুরানো বসতি) এর লোকেরা এগুলো ব্যবহার করত।

কেউ যদি ডিফেন্সে (করাচির একটি সমৃদ্ধ এলাকা) বাস করত, তাহলে তারা চীনে তৈরি যেকোনো কিছু দেখে নাক সিটকাতো।

তাই না?

কিন্তু এখন তারা অনেক উন্নতি করেছে। তা কেন?

এই ফোন, হুয়াওয়ে ফোন- এর নাম কী?

না [আপনি যা বলছেন তা নয়]। এটি মেট ২০।

এটি সম্পর্কে দুর্দান্ত জিনিস হল যে আপনি যদি এটির পাশে অন্য একটি ফোন রাখেন তবে এটি সেই ফোন থেকে চার্জ হওয়া শুরু করবে।

এটা কি করবে? এটা চার্জ করা শুরু হবে.

এখন আমরা প্রযুক্তিতে ব্যাপক অগ্রগতি করেছি।

আর এটাই আমাদের দাবি!

ভোক্তা বাজার প্রযুক্তিতে [প্রগতি] দাবি করে।

আপনি আশা করছেন অ্যাপল, স্যামসাং, এলজি এবং হুয়াওয়ে

তাদের পণ্যে নতুন উদ্ভাবন চালিয়ে যেতে।

আপনার কি আল্লাহ এর কাছে এমন প্রত্যাশা নেই?

আপনি কি ঈশ্বরের জন্য ১৪০০ বছর পুরানো জিনিস ব্যবহার চালিয়ে যাওয়া এর আশা করেন?

তারা এখন এত পুরোনো! এবং তাদের আপডেট করা হয়নি.

ইমাম মেহেদী গোহর শাহী পুরো ব্যবস্থাই নতুন করে দিয়েছেন!

আগে এমন ছিল যে, আল্লাহ রহমত ও ফাযেজ দিবে তবে আপনার ভালো কাজ করতে হবে।

আগে, ওয়াসওয়াসা আসত।

যেমন, 'আমরা সেই ব্যক্তি যারা ১২ বছর কঠোরতা এবং শৃঙ্খলায় কাটিয়েছি নাফসকে পাক করতে। তখনই আমরা খারাপ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছি।'

'এখন যদি আমরা ভালো কিছু করি, আল্লাহ বলেন সবই তাঁর রহমতে।'

এটি এমন কিছু যা মহান মোমিনদের এবং ওলী-আল্লাহদের বিরক্ত করত।

কিন্তু এই দিন ও যুগে কী অবস্থা?

সারকার গওহার শাহী কখনো তাকওয়া বা কঠোরতা অবলম্বন করতে বলেননি।

তিনি বলেছিলেন যে তুমি যেমন আছ তাঁর কাছে আসতে পারবে।

এখন তো এই পাপীরা কিছু করেনি!

আমরা যদি ভাল কিছু করি তবে আমরা ভাল করেই জানি যে এটি শুধুমাত্র সারকার গোহর শাহীর রহমতে করা হয়েছিল।

কারণ আমরা কখনোই নিজেদের সামর্থ্যে তা করতে পারতাম না।

বুল্লেহ শাহ এত আনন্দিত ছিলেন কারণ তাকে তসবী হাতে মাধ্যমে ইবাদত করতে হয়নি।

তিনি বললেন, 'আমি ইবাদত বা কোনো তসবী পড়িনি' - আসলে আমি কিছুই করিনি!

এমন কোন পাপ আছে যা আমরা করিনি?

আমি এটা বলছি না কারণ আমরা পাপী বলে গর্বিত। না।

আমি শুধু এ কথা বলছি কারণ আমরা এমন অভ্যাসগত পাপী

এবং আমরা এমন নিবেদিত পাপী

যে আমরা পাপের এই চোরাবালি থেকে নিজেদের মুক্ত করতে অক্ষম।

এমতাবস্থায়, আমরা কেবল [সারকার গোহর শাহীর] অনুগ্রহের মাধ্যমে রক্ষা পেতে পারি।

যদি আমাদের উপরও কাল্ব জারির আগে নাফসকে করা যদি আমাদের পূর্বশর্ত হয়,

আমরা আমাদের পার্থিব কাজে ব্যস্ত ছিলাম। যদি আমাদের বলা হয়:

'আপনি যাকিরে কাল্বি হতে চান তবে আপনাকে প্রথমে নিজেকে অস্বীকার করতে হবে।' কি? এই পৃথিবীতে কেউ কি আছে যে নিজেকে অস্বীকার করে?

সবাই নিজেকে অনেক বড় মনে করে।

এমনকি কেউ কাউকে ১০ পাউন্ড ধার দিলেও তারা চায় তাদের ছবি স্থানীয় পত্রিকায় ছাপা হোক!

'দেখুন, আমি কাউকে ১০ পাউন্ড ঋণ দিয়ে মানবিক কিছু করেছি। এটি প্রথম পাতার গল্প হওয়া দরকার।'

মানুষ আজ কোনো ভালো কাজ না করলেও প্রচার আশা করে।

তারা চায় তাদের কোনো ভালো কাজে জড়িত হওয়ার খবর বাস্তবে সম্পন্ন হওয়ার অনেক আগেই প্রকাশিত হোক।

এবং তারপর নাফসকে শুদ্ধ করতে, অপমান সহ্য করতে এবং তপস্যার জন্য জঙ্গলে যেতে হবে। এ যুগে এসব কিভাবে সম্ভব?

কে আজ জঙ্গলে যাচ্ছে?

লোকেরা ক্যাম্পিং করতে গেলে এটি একটি ভিন্ন কথা।

যাইহোক, কেউ তাদের নাফসকে পাক করতে সেখানে যাচ্ছে না।

এখন, সামুন্দারি বাবা - একজন ওলী আল্লাহ - অভিযোগ করতেন এবং বলতেন, 'কেন এই ফ্যাশনেবল লোকদের কেন ইস্মে-জাত দেওয়া হল ?'

কারণ, আপনি একটি দড়িতে যুক্ত ছিলেন, বুড়ো!

এবং সরকার গওহার শাহী 7টি দড়ির সংযোগ সরবরাহ করেছেন এবং এই কারণেই যাদের যিকির চলেছে তারা আগে এবং পরে ফ্যাশনেবল ছিল এবং তারা ফ্যাশনেবল থাকবে!

এবং এর কারণ এই যে এই লোকেরা পরহেজগার এবং তাকওয়ার উপর নির্ভরশীল নয়, তারা সরকার গওহার শাহী এর নাযরে কারাম এর উপর নির্ভরশীল।

তাদের ধর্মীয়তা, তাদের বিশ্বাস এবং আল্লাহ এর প্রতি তাদের ভালবাসা শুধুমাত্র সরকার গওহার শাহী এর নাযরে কারাম এর উপর নির্ভরশীল।

এটা এমন নয় যে আমরা কিছু করতে চাই না, আমরা বিরত থাকা এবং তাকওয়া অনুশীলন করতে চাই না।

আসলে, আমরা এটা করতে অক্ষম. আমরা চেষ্টা করি কিন্তু তাকওয়া চর্চা করতে পারি না।

তা কেন? কারণ এটা তাকওয়ার যুগ নয়।

হাদীসে আছে,"এমন এক সময় আসবে যখন মানুষ সকালে হবে ধর্মপ্রাণ এবং সন্ধ্যায় অবিশ্বাসী হবে।"

এটি সেই যুগের কথা যেখানে শুধুমাত্র একটি একক দড়ি সংযুক্ত ছিল।

যেহেতু এটি শুধুমাত্র একটি ঐশ্বরিক দড়ি ছিল, আব্দুল কাদির জিলানী আপনাকে সকালে এবং সন্ধ্যায় একজন ধর্মপ্রাণ মুমিন বানিয়ে দিতেন, আপনি আনোয়ারের সাথে দেখা করতেন এবং কাফের হয়ে যেতেন।

আজকে একজন মানুষ গর্ব করে বলতে পারে, 'আমি একজন মোমিন হওয়ার একমাত্র কারণ সারকার গওহার শাহীর অনুগ্রহ!'

'আমি নিজে মোমিন হওয়ার জন্য কিছু করিনি।'

'আমি নিজে একজন মোমিন হওয়ার জন্য কিছু করিনি। আমি আজ একজন মোমিন হওয়ার একমাত্র কারণ সারকার গোহর শাহীর রহমত ও আশীর্বাদ।'

'এটাই একমাত্র কারণ যে আমি মোমিন, অন্যথায়, আমার মধ্যে এমন কোন ক্ষমতা নেই।'

'আমার পরহেজগারিও নেই, পরহেজগারিও নেই, অংশও নেই।'

'আজ যদি আমি একজন মোমিন হয়ে থাকি তবে তা শুধুমাত্র সারকার গওহার শাহী এর রহমত ও ফায়েযের কারণে।'

শুধুমাত্র সারকার গওহার শাহী এর নযরের মাধ্যমে সম্ভব

এবং এটি শুধুমাত্র সারকার গওহার শাহী এর নাযরে কারামে ঘটতে পারে। আপনি নিজের চেষ্টা করতে পারেন কিন্তু কোন লাভ হবে না কারণ এটি আখেরী জমানা।